রাঙামাটিতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশি
রাঙামাটিতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পাহাড়ি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় পাহাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিগত দিনে নানা কারণে লোকসান করলেও এবার লাভের মুখ দেখার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
কোরবানির জন্য রাঙামাটির পাহাড়ি অঞ্চলের গরুর চাহিদা বেশি। ঈদকে সামনে রেখে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ইতোমধ্যে বেপারীরা রাঙামাটি, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পশু সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বড় বড় হাট গুলোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, পাহাড়ে লালন-পালন হওয়ায় এখানকার গরু ও ছাগলের চাহিদা বেশি। এ কারণে এবার পশুর দাম একটু বেশি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বেড়ে উঠা এসব গরু চর্বিমুক্ত বলেও দাবি করেন তারা।
পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই হাটে পশু আসছে। ক্রেতারাও সহজে পছন্দের পশু ক্রয় করতে পারছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে হাটের ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হক বলেন, কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সব রকম সহায়তা দিচ্ছে। রাঙামাটির কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্যান্য কার্যক্রম তদারকি করার জন্য টিম গঠন করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। কোরবানির পশুর হাট তদারকি করার জন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা নির্ধারিত হাটে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটের নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।