রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

রাঙামাটি (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৫:১২, ২৯ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৫:১৪, ২৯ আগস্ট ২০২৪

রাঙামাটি পৌর এলাকা ও নানিয়ারচরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ডুবে আছে সড়ক-ঘরবাড়ি

রাঙামাটি পৌর এলাকা ও নানিয়ারচরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ডুবে আছে সড়ক-ঘরবাড়ি

রাঙামাটি পৌর এলাকা ও নানিয়ারচরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট ও মানুষের ঘরবাড়ি। তবে বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি ঘটেছে। এসব এলাকা থেকে ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করায় ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে।

রাঙামাটি শহরের রসুলপুর, শান্তিনগর আসামস্তি, ব্রাক্ষণটিলা, রাঙাপানি, হাসপাতাল এলাকা, পাবলিক হেলথ, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, পুরানবস্তিসহ কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা বন্যায় পানিতে প্লাবিত হয়েছে। হ্রদের নিম্নাঞ্চল তীরবর্তী আকস্মিক বন্যায় শহরতলী ও পৌর এলাকার জনদূর্ভোগ পড়েছে হাজারো মানুষ। বাসাবাড়িতে বন্যায় পানি প্রবেশ করায় রান্নাবান্নার কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

এদিকে, নানিয়ারচরে উপজেলার বুড়িঘাট আশেপাশে এলাকায় এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে অনেক বাড়ি। কাপ্তাই হ্রদের তীরবতী এলাকার প্রায় ঘরগুলো একই অবস্থা। তেমনি বুড়িঘাট ১৭নং টিলার গফফারের বাড়িটি গত কয়েক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাত আর বন্যায় তলিয়ে গেছে বাড়িটি। অসহায় জীবন যাপন করতে দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্তদের। বাড়িটির সামনে যে নলকূপটি ছিল, সেখান থেকে পরিবার পানি সংগ্রহ করতেন এখন সেই নলকূপটিও পানিতে ডুবে গেছে। চারদিকে থই থই পানি। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

বন্যায় কবলিত পরিবারের সবাই অন্যের বাসায় এসে আশ্রয় নিলেও দুর্ভোগ কমেনি তাঁদের। কর্মহীন রয়েছে অনেক দিন, যতটুকু সঞ্চয় ছিল সব শেষ। ঠিক মত খাবারও মিলছে না অনেকের। রান্নার ঘরটিও পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রান্না-বান্নার কাজও বন্ধ রয়েছে। ঘরে-বাইরে সবখানে শুধু পানি আর পানি। এমনিই অবনতিতে পড়ে আছে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী পরিবারগুলো। কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরন বন্ধ থাকায় দূর্বিসহ জীবন যাবন করতে হচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর। হঠাৎ কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়াতে আশেপাশের প্রায় সব এলাকায় ডুবে গেছে।

এদিকে, নানিয়ারচর উপজেলার অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় পানিবন্দী লোকজন এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এইসব জায়গায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। রয়েছে তীব্র পানির সংকট। এছাড়া আর বন্যায় পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে নানিয়ারচরের আমতলি, কমতলি ও মাছ কম্পানি এলাকার অনেক পরিবার। এছাড়া ২নং টিলা কেতাব আলীর বাড়ি, ৫নং টিলার ফাতেমার বাড়িটি পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে এইসব পরিবারগুলো।

সম্পর্কিত বিষয়: