আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস আজ
আজ ২৩ জুন, আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। ২০১০ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছিল এই দিনটি। বিধবা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি বিধবাদের অর্থনৈতিক সমস্যা এবং সামাজিক অবিচারের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
উন্নয়নশীল এবং নিম্ন আয়ের দেশে অসহায় বিধবাদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ, অর্থনৈতিক বঞ্চনা এবং বৈষম্যকে তুলে ধরা হয় আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাকে বিধবাদের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত করাও এই দিনটি পালন করার অন্যতম উদ্দেশ্য।
বিধবাদের অর্থনৈতিক, ব্যবহারিক ও সামাজিক সমস্যার ক্রমবর্ধমানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে বিধবা ও তাদের শিশুদের সমর্থনে শীর্ষক একটি প্রস্তাব পাস করার পর ঘোষণা করে ২৩ জুনের আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত লুম্বা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের ইতিহাস। এই ফাউন্ডেশনটি লর্ড রাজ লুম্বা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য ট্রাস্ট। বিধবাদের ক্ষমতায়নের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করে এই ফাউন্ডেশনটি।
সাধারণত বৈধব্যকে মনে করা হয় নারীর সারা জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ। জাতিসংঘের মতে, বিশ্বব্যাপী নারীর জন্য, তাদের জীবনসঙ্গী হারানোর বেদনার সঙ্গে মৌলিক অধিকার এবং মর্যাদার জন্য দীর্ঘস্থায়ী লড়াই হয়ে ওঠে খুবই জটিল।
সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বর্তমানে সারা বিশ্বে বিধবার জীবনযাপন করছেন ২৫ কোটিরও বেশি নারী। সমাজে ঐতিহাসিকভাবে বিধবারা অবহেলিত, অসমর্থিত এবং অস্বীকৃত। উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া, সামাজিক বঞ্চনা, লিঙ্গ বৈষম্য, জোরপূর্বক পুনর্বিবাহ, অর্থনৈতিক সমস্যার মতো বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় বিধবাদের, এই সমস্যাগুলো তুলে ধরা এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে তাদের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা আন্তর্জাতিক বিধবা দিবসের মূল উদ্দেশ্য।