রাঙামাটি । রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

ব্রেকিং

বাঘাইছড়িতে নদীতে গোসল করতে নেমে কিশোরী নিখোঁজরাঙামাটিতে “শহীদি মার্চ” অনুষ্ঠিতহারানো ২৫ মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশপার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমাকাপ্তাই হ্রদে পানি আরও বৃদ্ধি, এবার সাড় ৩ ফুট খোলা হলো জলকপাটের গেইট১২৭ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরুচাহিদা মতো চাদাঁ না দেওয়ায় আঞ্চলিক দলের বাঁধার মুখে কাপ্তাইয়ে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেকাপ্তাই হ্রদে পানি আরও বৃদ্ধি, এবার ২ ফুট খোলা হলো জলকপাটের গেইটনিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামছেন জেলেরাকাপ্তাই হ্রদে ডুবে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ উদ্ধারকাপ্তাইয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বন্যায় ক্ষতি ৫০ কোটি টাকালংগদুতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুরাঙামাটি পৌর এলাকা ও নানিয়ারচরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ডুবে আছে সড়ক-ঘরবাড়িরাঙামাটিতে সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদানরাঙামাটিতে বৈষম্য ও সন্ত্রাস বিরোধী মহাসমাবেশ ছাত্র পরিষদেরপানির প্রবল চাপ সামলাতে এবার ২ ফুট খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

স্বাস্থ্য ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১৪ জুলাই ২০২৪

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে টিপা ফল

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে টিপা ফল

টিপা ফল (Indian plum বা coffee plum) এক ধরনের টক মিষ্টি অপ্রচলিত ফল। এটি ছোট গুল্ম বা বৃক্ষ জাতীয় কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Flacourtia jangomas বা Flacourtia cataphracta। এর অন্যান্য নামগুলো হলো- টিপফল, টিপটিপানি, টিপাটিপি, লুকলুকি, পেলাগোটা, প্যালা, পায়েলা, ঝিটকি, পলাগোটা, টরফই, পানিয়ালা, পানি আমলা, পাইন্না, পাইন্যাগুলা, বেহুই ইত্যাদি।

ঝোপঝাড় বন-জঙ্গলে এ গাছ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। উচ্চতা ১০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। গাছ কাঁটাযুক্ত। কাঁটাগুলো শাখান্বিত ও যুথবদ্ধ। ডালপালাতেও কাঁটা থাকে। পাতা সবুজ রঙের, একক, ডিম্বাকৃতি, কিছুটা লম্বাটে, অগ্রভাগ সুচালো ও ঢেউ খেলানো। পাতার কিনারা সামান্য খাঁজকাটা। গাছে মার্চ-এপ্রিলে ফুল আসে। ফল পাকে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে, তবে নভেম্বর পর্যন্ত গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়।

ফুল সাধারণত গুচ্ছাকারে হয়ে থাকে, আকৃতি ছোট, সাদাটে সবুজ থেকে বেগুনি রঙের এবং সুগন্ধি। ফল গোলাকার মার্বেলের মতো, চামড়া মসৃণ ও পাতলা। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ রঙের। পাকলে লালচে বেগুনি। পাকা ফলের ভেতরটা বাদামি বা কালচে গোলাপি রঙের। টিপা ফল পাকার পরে টিপে নরম করে খেতে হয়; এই কারণে এমন নামকরণ হয়েছে। তবে না টিপেও খাওয়া যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে এর স্বাদ টক এবং কষ্টি। টেপার পর ভিতরে নরম ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত হয়ে যায়। আচার ও ভর্তা করে এ ফল খাওয়া যায়।

টিপা ফল এশিয়ার ক্রান্তীয় অঞ্চলে উদ্ভূত। বর্তমানে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে।  বাংলাদেশ সহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়াতে এটি চাষ করা হয়। মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই টিপা ফল গাছের ফল, বাকল, পাতা ও শেকড় ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রাসায়নিক উপাদান:

টিপা ফলে রয়েছে প্রায় ৬০ ভাগ আয়রন। এ ছাড়াও রয়েছে সালফার, ফসফেট, ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। 

ঔষধিগুণ

১. দাঁত ব্যথা হলে টিপা গাছের শিকড় সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুল কুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।

২. পাকা টিপা ফল খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৩. টক মিষ্টি এই টিপা ফল খেলে মুখের অরুচি ভাব কেটে যায়।

৪. টিপা ফল লিভারের ক্যান্সার দমন করতে সাহায্য করে।

৫. ডায়রিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। টিপা গাছের কচি পাতা ও ফল ডায়রিয়ার জন্য খুব ভালো কাজ করে।

৬. টিপা ফল হৃদরোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। কারণ এতে রয়েছে রক্ত তরল করার উপাদানসমূহ।

৭. টিপা ফলের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট । তাই টিপা ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

জনপ্রিয়