রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ , ১৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:১৫, ১৮ জুন ২০২৪

প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু ‘লাল মাংস’ খাবেন?

প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু ‘লাল মাংস’ খাবেন?

কোরবানির ঈদ। গরু, খাসি ও মহিষসহ বিভিন্ন ধরনের লাল মাংসের পদ বেশি প্রাধান্য পায় এই ঈদে। রেড মিট বা লাল মাংস পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষই। কিন্তু এই লাল মাংস একটানা দীর্ঘদিন গ্রহণে ও অতিভোজনে শরীরের নানা রোগবালাই বাসা বাঁধতে পারে। ঈদ বলেই অনিয়ন্ত্রিত খেয়ে অসুস্থ হওয়া চলবে না। বিশেষ করে যারা উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগী, তাদের থাকতে হবে বাড়তি সাবধান।

আবার, গরুর মাংসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সতর্কবার্তা পেতে পেতে আমাদের প্রায় সবার মনে ধারণা জন্মেছে যে, এর কোনো উপকারিতাই নেই। সত্যি কথা হল, গরুর মাংসের অনেক উপকারী দিকও আছে। পরিমিত পরিমাণে সঠিকভাবে খেলে গরুর মাংস থেকে যেই পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায় তা সমপরিমাণ অন্য কিছু থেকে পাওয়া কঠিন।

কী পরিমাণ খাওয়া উচিত

প্রতিদিন একজন সুস্থ ব্যক্তি কতটুকু প্রোটিন খাবেন সেটা নির্ভর করে ঐ ব্যক্তির আদর্শ ওজনের উপরে। একজন ব্যক্তির আদর্শ ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে তিনি প্রতিদিন ৬০ গ্রামের মতো প্রোটিন গ্রহণ করতে পারবেন। কিডনি রোগসহ বিশেষ বিশেষ কিছু রোগে এর পরিমাণ কমতে থাকবে। আবার মেয়েদের মাসিক চলাকালীন সময় ও গর্ভকালীন সময়ে এই প্রোটিনের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

তবে কারোরই দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত না। গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো সপ্তাহে দুই দিন বা সপ্তাহে মোট তিন থেকে পাঁচ বেলা। প্রতি বেলায় ঘরে রান্না করা মাংস ১৫ থেকে ২৫ গ্রাম বা ২/৩ টুকরার বেশি খাবেন না। দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো, ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। আনুমানিক একটা কম্পিউটারের মাউস বা একটি তাসের বাণ্ডিলের সমান টুকরোতে এই পরিমাণ মাংস পাবেন। একজন সুস্থ মানুষের কোলেস্টেরলের দৈনিক নিরাপদ মাত্রা হল ৩০০ মি.গ্রা. এবং হার্টের রোগীর জন্য ২০০ মি.গ্রা.। সুতরাং ৩ আউন্স গরুর মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিরাপদ সীমার অনেক নিচে।

প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মাংসে প্রায় ২৩ গ্রামের মতো প্রোটিন ও ২.৫ গ্রামের মতো ফ্যাট থাকে। কিন্তু উক্ত ব্যক্তি যদি হিসেব মেলাতে প্রতিদিন প্রোটিনের অন্য সকল উৎস বাদ দিয়ে শুধু ২৬০ গ্রামের মতো লাল মাংস গ্রহণ করেন তার ৬০ গ্রাম প্রোটিনের চাহিদা পূরণে, এটি তার জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।

আরো সতর্কতা

মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন। বেশি তেল দিয়ে ভুনা করার চেয়ে বারবিকিউ, গ্রিল, কাবাব বা অল্প তেলে ঝোল করে ঝোল এড়িয়ে মাংস খেলে তা বাড়তি তেলে ক্ষতির আশঙ্কা এড়াতে সহায়তা করবে। রোগাক্রান্ত অবস্থায় রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে তার শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী আমিষের পরিমাণ ও খাবার নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একজন দক্ষ ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ/ ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে আপনার পথ্যটি নিশ্চিত করে নিন।

জনপ্রিয়