রাঙামাটি । রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

ব্রেকিং

বাঘাইছড়িতে নদীতে গোসল করতে নেমে কিশোরী নিখোঁজরাঙামাটিতে “শহীদি মার্চ” অনুষ্ঠিতহারানো ২৫ মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশপার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমাকাপ্তাই হ্রদে পানি আরও বৃদ্ধি, এবার সাড় ৩ ফুট খোলা হলো জলকপাটের গেইট১২৭ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরুচাহিদা মতো চাদাঁ না দেওয়ায় আঞ্চলিক দলের বাঁধার মুখে কাপ্তাইয়ে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ, সরকার রাজস্ব হারাচ্ছেকাপ্তাই হ্রদে পানি আরও বৃদ্ধি, এবার ২ ফুট খোলা হলো জলকপাটের গেইটনিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নামছেন জেলেরাকাপ্তাই হ্রদে ডুবে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ উদ্ধারকাপ্তাইয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বন্যায় ক্ষতি ৫০ কোটি টাকালংগদুতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুরাঙামাটি পৌর এলাকা ও নানিয়ারচরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ডুবে আছে সড়ক-ঘরবাড়িরাঙামাটিতে সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে বিশেষ মানবিক সহায়তা প্রদানরাঙামাটিতে বৈষম্য ও সন্ত্রাস বিরোধী মহাসমাবেশ ছাত্র পরিষদেরপানির প্রবল চাপ সামলাতে এবার ২ ফুট খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:৫২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আবারও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার, নেপথ্যে হিল ভয়েস

আবারও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে অপপ্রচার, নেপথ্যে হিল ভয়েস
প্রচারকৃত গুজব। ছবি:- সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিল ভয়েসসহ বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম থেকে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে অনেক দিন ধরে। মিথ্যাকে রঙ মেখে নানাভাবে গোয়েবলসীয় কায়দায় এনে তাকে কেবল বিতর্কিত করাই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনীকে নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে হিল ভয়েস নামক ফেসবুক পেজে নিয়মিত মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা বা গুজব প্রচার করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ‘কাপ্তাইয়ে ৬ জন সেনা সদস্য কর্তৃক এক মারমা কিশোরী গণ-ধর্ষণের শিকার’ শিরোনামে একটি প্রোপাগান্ডা রিপোর্ট প্রচার করে হিল ভয়েস! উক্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ‘মিতিঙ্গাছড়ি সেনা ক্যাম্পের’র সদস্যরা এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণ করে।

ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ০৪ সেপ্টেম্বর- ২০২৩ তারিখে রাইখালীতে এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি। তাছাড়া রাইখালী ইউনিয়নে ‘মিতিঙ্গাছড়ি নামে কোন সেনা ক্যাম্প’ নেই। এছাড়াও যে গ্রামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটিও সঠিক নয়। রিপোর্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানান স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাইখালীর মারমা সম্প্রদায়ের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল মারমা সম্প্রদায়কে জড়িয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উপজাতি সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য হিল ভয়েস ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে। বিষয়টি আমাদের ‘মারমা সম্প্রদায়’কে রীতিমতো বিব্রত করেছে। এসব অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।’

এদিকে, ‘উক্ত বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অপপ্রচারের শিকার কিশোরী হলামোচিং মারমা ওরফে লিলিপ্রু রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে রাইখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত এবং মৌখিক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে ঘিরে যে সকল তথ্য হিল ভয়েস নামক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে তা বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন অপপ্রচারের শিকার কিশোরী হলামোচিং মারমা ওরফে লিলিপ্রু।’

প্রসঙ্গত, হিল ভয়েস নামক ফেসবুক পেজের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন এবং বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। শুরু থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশের ভূখণ্ড রক্ষা করতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেনাবাহিনীর বহু সদস্য প্রাণ দিয়েছেন এই পাহাড়ের বুকে। কিন্তু এই দেশ প্রেমিক, সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে দেশ-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করতে এসে মিথ্যা অপপ্রচারের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আঞ্চলিক পাহাড়ী সন্ত্রাসী দলগুলো সেনাবাহিনীর কর্মকান্ডকে বিতর্কিত করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব) ব্যবহার করে দেশে-বিদেশে সেনা বিরোধী তথা দেশ বিরোধী অপপ্রচার করছে প্রতিনিয়ত। নামে-বেনামে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা কন্টেন্ট তৈরী করে অপপ্রচার করছে। Hill Voice, CHT News, আদিবাসীর সংবাদ, ইত্যাদি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে দেশপ্রেমীক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি ব্যবহার করা তাদের নিত্য দিনের কাজ। তাই রাষ্ট্রবিরোধী এসব আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার এখনই উপযুক্ত সময়।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়