জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাচনী লড়াই তুঙ্গে, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা
৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জুরাছড়িতে । ২৩ এপ্রিল প্রতিক বরাদ্দ পাওয়ার পর ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেতে শুরু করেছেন চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা। মঙ্গবার (৭মে) শেষ হচ্ছে প্রচারনা।
তিনটি পদের ভোটযুদ্ধ হবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে। চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে মাঠে আছেন সাবেক রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা দোয়াত কলম প্রতীক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কেতন চাকমা মোটর সাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রন্টু চাকমা উড়ো জাহাজ প্রতীক ও চসমা প্রতীকে সাবেক ইউপি সদস্য কামিনী রঞ্জন চাকমা। ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য জ্যোস্না তালুকদার পদ্ম ফুল প্রতীক ও অনিতা দেবী চাকমা হাঁস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এবারে নির্বাচনে প্রচারনায় প্রানবন্ট হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা জনগণের কাছে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পাহাড় থেকে পাহাড়ে ছুটে চলেছে প্রচারনায় ব্যস্ত এখন।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা উন্নয়ন কার্যক্রম অবহ্যত রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে সূষম উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী কেতন চাকমা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি, ধর্মীয় উন্নয়নসহ যোগাযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বিশুদ্ধ ও সুপিয় পানিয় জলের ব্যবস্থা, যোগাযোগ, কৃষি, শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যুব শক্তি, নারী শক্তি, ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনী পরিবেশ সুন্দর থাকলে লড়াই হবে সমানে সমান। লড়াই হবে সাবেকের সাথে বর্তমানের। তবে আওয়ামী লীগের একই পদের প্রার্থী দুই জন হওয়াই সংক্ষিন্নতায় ভুগছে দলীয় কর্মীরা।
জুরাছড়ি উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের ১৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে দুমদুম্যা ইউনিয়নের বগাখালী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোটার ১ হাজার ২৫৬ জন, বরকলক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ২৬০ জন, ভুয়াতুলীছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ২৬৬ জন, ফরেস্ট ভিলেজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮৮৭ জন। মৈদং ইউনিয়নের ফকিরাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৩৫৮ জন, শীলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ হাজার ৪৭২ জন। বনযোগীছড়া ইউনিয়নে চকপতিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৫৯ জন, বনযোগীছড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১ হাজার ৭৭৪ জন, ধামাইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৯৯৬ জন। জুরাছড়ি ইউনিয়নে ডেবাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ হাজার ২৫৪ জন, শৈয়াল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২২৭ জন, ঘিলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ হাজার ৫১৯ জন, ভুবন জয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ২০২ জন ভোটার রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত মোহাম্মদ নোমান বলেন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট সম্পন্য হবে।