রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১ আশ্বিন ১৪৩১

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৪:২২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্ণফুলীর স্রোত কমায় চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু

কর্ণফুলীর স্রোত কমায় চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু
​​​​​​​চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকা। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় তোলা ছবি।

৫ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

উজান থেকে আসা পানি ও পাহাড়ী ঢলের চাপ সামলাতে কাপ্তাই বাঁধের স্পীলওয়ে দিয়ে পানি ছেড়ে দেওয়ায় তীব্র স্রোতের কারণে উপজেলার রাইখালী ও চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার উভয় দিকে অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর উপর নির্মিত নৌ পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত ২টি ফেরি গত ৩১ আগস্ট থেকে বন্ধ থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধির কারণে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। ফলে গত ৩১ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মুঠোফোনে বলেন, নদীতে স্রোত অনেকটা কমে আসায় চালক, যাত্রী, ব্যবসায়ী এবং সর্ব সাধারণের অসুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ফেরি চলাচল শুরু করেছি।

ওইদিন যোগাযোগ করা হলে ফেরির ইজারাদারের কর্মচারী মো. শাহজাহান বলেন, নদীতে স্রোত কিছুটা কম হলেও এখনো স্রোত রয়েছে, আমরা সকলের কথা চিন্তা করে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা হতে ফেরি চলাচল শুরু করেছি। তবে দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে নদীতে জোয়ার আসলে ফেরির গ্যাংওয়েতে পানি উঠে গেলে তখন কিছু সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবা বেলা ১২টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে কয়েকজন চালক, যাত্রী ও ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, গত ৫ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এছাড়া কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ইঞ্জিন চালিত বোট দিয়ে পারাপারে খুবই ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। আজ ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় আমরা স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছি।

প্রসঙ্গত, ফেরি চলাচল বন্ধের ফলে রাঙামাটি-বান্দরবান-রাজস্থলী সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে বিপাকে পড়েন এই রুটে চলাচলকারী শত শত যাত্রী এবং চালক। এ সময় অনেকে বিকল্প পথে ইঞ্জিন চালিত বোটে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে চলাচল করতে থাকে। এছাড়া অতি প্রয়োজনীয় গাড়িগুলো চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন সেতু ব্যবহার করে এই কয়েকদিন চলাচল করেছিল।

সম্পর্কিত বিষয়: