রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩ আশ্বিন ১৪৩১

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আবার বন্ধ করা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট

আবার বন্ধ করা হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট
ছবি সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ কমে যাওয়ায় সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় দ্বিতীয় বারের মতো বন্ধ করা হয়েছে কাপ্তাইের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা আছে ১০৮.৩৯ ফুট মীন সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে  সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় স্পীলওয়ের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছিল। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হয়।

এদিকে, জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট চালু রেখে গড়ে প্রতিদিন ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানান পিডিবি কর্তৃপক্ষ। এতে ৫টি ইউনিট দিয়েও প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২-৩৩ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে বেরিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, টানা বর্ষণের ফলে উজান হতে নেমে আসা পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করায় গত ২৫ আগস্ট সকাল ৮টায়  কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীলওয়ের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। হ্রদে পানি বৃদ্ধির কারণে দফায় দফায় পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয় এবং সর্বশেষ ২ ফুট এমএসএল পর্যন্ত পানি ছাড়া হয় কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট দিয়ে। পরে টানা ১৫ দিন পানি ছাড়ার পর হ্রদের পানি ১০৮ ফুট এমএসএলের নীচে নেমে আসায় অর্থাৎ বিপদ সীমার নীচে চলে আসায় গত ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ১৬টি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু  গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয় বারের মতো ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ