রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ , ২ কার্তিক ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১০ জুলাই ২০২৪

কোটা আন্দোলন নিয়ে বিএনপির মাস্টারপ্ল্যান, নাশকতার পরিকল্পনা

কোটা আন্দোলন নিয়ে বিএনপির মাস্টারপ্ল্যান, নাশকতার পরিকল্পনা

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওইবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক কোটাবিরোধী আন্দোলনের ফলে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট।

পরে ২০২১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে কেন ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

পরে আদালত তার বক্তব্যে বলেছেন ‘আগের মতো কোটা বহাল থাকবে’। এই রায়ের পর কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলন শুরু করে চাকরি প্রত্যাশি শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ জুলাই) কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া সেই রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্রটিই বহাল থাকছে।

কিন্তু এরপরও রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এখন প্রশ্ন উঠেছে- আদালতের রায়ের পরও তীব্র গরমে মধ্যে সাধারণ মানুষ ও হাসপাতালগামী রোগীদের কেনো ভোগান্তিতে ফেলছে শিক্ষার্থীরা?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আন্দোলনের ছদ্মাবরণে মাঠে নেমেছে সরকারবিরোধী শক্তি। আন্দোলনে আর্থিক সহযোগিতা করছে বিএনপি-জামায়াত। ছাত্রদল ও শিবিরকে পেছন থেকে সাংগঠনিক শক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড।

তাদের উদ্দেশ্য, কোটা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিয়ে যাওয়া। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা এবং সরকার উৎখাত করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করা। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।

জনপ্রিয়