সূখে থাকার সাইকোলজিক্যল কিছু ব্যাপার
মানুষ বেশি ভালোবাসতে পারে না বলেই খুব বেশি হাহাকার করে। খুব অল্পকিছু সময় আছে বলেই মাঝে মাঝে আমরা সূখি হই। সূখ অনুভব করি। ঠিক সবাই সূখি হতে চায়!
কাউকে তুমি একটুখানি হাসি দাও। ঠিক সে তোমার প্রেমে পরে যাবে। প্রেমে মানুষ অনেকভাবেই পরে। প্রেম, ভালোবাসা, ভালোলাগা তিনটি শব্দের তিনগুন প্রতিশব্দ রয়েছে। প্রতিশব্দ হতো না। মানুষ এর ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে আসছে। তবে এ শব্দগুলোর প্রথমেই হলো সে তোমাকে পচন্দ করে কিনা। অনেকেই কিন্তু আত্মিয় হয়ে উঠে তবে প্রিয় হয় না।
আয়নার প্রতিফলন আমরা জানি। তুমি আয়নাকে তোমার চেহারা দেখিয়েছো তো আয়নাও তোমাকে তার চেহারা দেখাবে। সব আয়না কিন্তু একই প্রতিফলন দেয় না। তাতে আলো পরলেই তা ফিরে দেখাবে।
সূখি হবার এক অসাধারন ক্ষমতা আছে মানুষের। কেউ কেউ প্রচন্ড বা তীব্র কষ্ট লালন করেও নিজেকে সূখি দেখাতে পারে। জগতে একমাত্র সূখি হলো যে কম জানে। তুমি যতবেশি প্যাঁচগোছ জানতে থাকবে ততই ডিপ্রেশনের দিকে ঝুঁকে যাবে।
তুমি দেখবে যখন তোমার সব সখ মিটে যাবে তখন বেঁচে থাকার তীব্র ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। খুব সামান্যকিছুও কিন্তু খুব আকৃষ্ট করে আবার বেশি সুন্দর কিছুও কিন্তু বেশি স্থায়ী হয় না। কেউ যখন কারো প্রতি মায়া মমতায় ডুবে যায় তখন যুক্তি থেকে সে সরে আসে। তখন কিন্তু লজিক কাজ করে না। যা করে সব আবেগ।
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো দুঃখকে ভুলে যাওয়া। আরো একটি কঠিন কাজ হলো সূখ কে মনে রাখা।
রহস্যই মানুষকে সুন্দর করে। কবি রা বলেন-তোমাকে যতই জানতে চেয়েছি ততই রহস্যে ডুবে যাচ্ছি। না চাওয়ার আগেই কোন কিছু পেয়ে যাওয়া যায় তা সবসময় মূল্যহীনই থেকে গেছে।
চলতে শুরু না করলে হারবার ভয় তো থাকবেই। আমরা একে অন্যের কাছে আশ্রয় খুঁজি। বুকে আশ্রয় খুঁজি। আশ্রয় খুঁজি প্রকৃতির মাঝে। মূলত আমরা সবাই আশ্রয়হীন। শেষ আশ্রয় টুকু যখন আমরা খুঁজে পাই তখন আমরা আর জীবিত থাকি না!
লেখাঃ সালাহ উদ্দীন মাহমুদ আরিফ
আলোকিত রাঙামাটি