প্যারাগুয়ের কাছে ‘২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট’ ব্রাজিলের লজ্জার হার
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বেশ দম্ভের সঙ্গেই ব্রাজিলের কোচ দরিভাল জুনিয়র বলেছিলেন, ‘আপনি লিখে রাখতে পারেন ২০২৬ বিশ্বকাপে আমরা ফাইনাল খেলব। বিশ্বাস না হলে দুই বছর পর আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।’ অথচ পরের ম্যাচেই র্যাংকিংয়ে ৫৭ ধাপ পিছিয়ে থাকা দুর্বল প্যারাগুয়ের কাছে লজ্জার হার হেরেছে সেলেসাওরা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান ব্রাজিলের, বিপরিতে ৬২তম স্থানে প্যারাগুয়ে। শক্তিমত্তায় ব্রাজিল থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে দেশটি। তবে সেলেসাওরা সেই প্যারাগুয়ের কাছেই ১-০ গোলে হেরেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর দলটির কাছে হারল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
৯০ মিনিটের খেলায় ব্রাজিলকে সবশেষ ২০০৮ সালে হারিয়েছিল প্যারাগুয়ে। মাঝে কোপা আমেরিকায় দুই দফায় ব্রাজিলকে হারলেও সেটা ছিল টাইব্রেকারে। আজও ম্যাচের শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলেছিল ব্রাজিল। কিন্তু দলটির ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল আসেনি।
উল্টো ইন্টার মায়ামির উইঙ্গার ডিয়েগো গোমেজের গোলে ম্যাচের ২০ মিনিটেই লিড পেয়ে যায় প্যারাগুয়ে। ব্রাজিল রক্ষণভাগের দূর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগে দূরপাল্লার শটে লিড নেয় স্বাগতিকরা। পুরো অর্ধে দাপট দেখিয়েও গোল আদায় করা হয়নি তাদের।
৫ মিনিট পর অবশ্য ম্যাচে ফিরতে পারতো ব্রাজিল। রিয়ালের তরুণ তারকা এনড্রিকের পাস থেকে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন গুইলেরমে অ্যারানা। প্যারাগুয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও গোললাইন থেকে ফেরত আসে বল।
ব্রাজিলকে হতাশ করেন প্যারাগুয়ের লেফটব্যাক জুনিয়র আলোনসো। প্রথমার্ধে এরপর আর গোল পায়নি কোনো দলই। মাত্র ২৭ শতাংশ বল পায়ে রেখেও লিড নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফেরা ব্রাজিল বার বার চেষ্টা করেও গোল পরিষোধ করতে পারেনি।
শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এই হারে ২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বেন টেবিলের পাঁচে নেমে গেল ব্রাজিল। এই ম্যাচসহ সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে সেলেসাওদের এটি চতুর্থ হার।
৮ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট ১০। এই মহাদেশ থেকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি জায়গা পাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। সপ্তম দলটিকে খেলতে হবে প্লে অফ। প্রতিটি দল খেলবে ১৮ ম্যাচ।